সরকার একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নানক বলেন, আমরা একটি চ্যালেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে মেট্রোরেল চালু হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সরকার বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছে। এরপরও বিএনপি নামক দলটি তারা কোনো কিছু দেখতে পায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত চৌদ্দ বছরে কী উন্নয়ন হয়েছে তারা (বিএনপি) নাকি হিসাব-নিকাশ পায় না।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে নানক বলেন, আপনাদের জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করে দেশ চালিয়েছিল, খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতা চালিয়েছিল তখন একটি উন্নয়ন দেখান যে আপনারা করেছেন। এরকম একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন না।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ওরা নাকি আমার স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র মেরামত করতে চায়। আরে রাষ্ট্র তো ধ্বংস করে দিয়েছেন আপনারা!
নানক বলেন, বিএনপির শাসনামলে দেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। সিভিল প্রশাসনসহ সব জায়গায় বিএনপি দলবাজি করেছিল। আর এখন তারা বলে রাষ্ট্রকে নাকি মেরামত করতে হবে। লন্ডনে পলাতক ওই দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেনেড হামলার আসামি তারেক বলে বাংলাদেশকে নাকি টেকব্যাক করতে হবে।
কিসের টেকব্যাক- প্রশ্ন রেখে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আবার হাওয়া ভবন, আবারো ২১ আগস্ট ঘটাবেন? আবার এই দেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করবেন? জঙ্গিদের সৃষ্টি করবেন? বাংলা ভাইদের সৃষ্টি করবেন? আমরা বেঁচে থাকতে তা হতে দেব না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজনটিতে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ নেতারা।
এ সময় নেতারা আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সব নেতাকর্মীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।