মেট্রো রেলে একবার যাতায়াতের জন্য যেমন টিকিট পাওয়া যাবে, তেমনি সাপ্তাহিক ও মাসিক টিকিটও পাওয়া যাবে। একে বলা হচ্ছে, ‘সিঙ্গেল জার্নি টিকিট’ ও ‘এমআরটি পাস’। এমআরটি পাসে আগে থেকেই টাকা রিচার্জ করা থাকতে হবে। আবার র্যাপিড পাস ব্যবহার করেও যাত্রীসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রো রেলে যাতায়াত করতে পারবে।
টিকিট নিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্টেশনে দুটি করে টিকিট বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীরা ‘সিঙ্গেল জার্নি টিকিট’ ও ‘এমআরটি পাস’ কিনতে পারবে। আবার যাত্রীরা চাইলে ‘টিকিট ভেন্ডিং মেশিন’ নামক একটি যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেও ‘সিঙ্গেল জার্নি টিকিট’ কিনতে পারবে। এই মেশিন থেকে এমআরটি পাসে টাকা রিচার্জ করা যাবে। মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমেও এমআরটি পাসে রিচার্জ করা যাবে।
ভ্রমণ দূরত্ব অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কিনতে হবে। আর এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস থেকে ভ্রমণ দূরত্ব অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত ভাড়া কেটে রাখা হবে। যেকোনো সময় যাত্রীরা এমআরটি পাস জমা দিয়ে অব্যবহৃত টাকা ফেরত নিতে পারবে।
এমআরটি পাস হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে নিবন্ধিত কার্ডের বাহককে জামানত পরিশোধ করে নতুন এমআরটি পাস নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অব্যবহৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন এমআরটি পাসে স্থানান্তরিত করা হবে।