বরিশালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে নারীনীতি প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি সরকার ২০০১ সালে রাতের অন্ধকারে নারীনীতি বাতিল করে দেশের নারীদের অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে নারী নির্যাতনে বিশ্ব রেকর্ড করেছিল। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে দেশ আজ নারী উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেল।
বরিশাল বিভাগের ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান এবং নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সভা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অধিকার বঞ্চিত নারীদের সমঅধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং উৎপাদিত পণ্যের ব্র্যান্ডিংকরণে জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে কর্মস্থলে নারীপুরুষ ৫০:৫০ উন্নীত করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের ২ লাখ ৫৬ হাজার প্রান্তিক নারীকে ও নগর পর্যায়ের ৫০ হাজার অসহায় নারীকে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে বিভাগের ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করেন প্রধান অতিথি। শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা অর্জনকারী নারী জবেদা বেগম, শিক্ষা ও চাকরিতে সাফল্য অর্জনকারী ড. রহিমা নাসরিন, সফল জননী মাজেদা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করা মরিয়ম বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় রেহেনা বেগম।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবেদা আকতার।
বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। সভা সঞ্চালনা করেছেন নেজারুল ইসলাম বাবু ও অন্বেষা দাস প্রমি।
সভার শুরুতে জয়িতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। এরপর জয়িতাদের জীবনী নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।