আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো শীত।
এর আগে গত শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে টানা চারদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে ১০ থেকে ১২ এর মধ্যেই উঠানামা করছিল তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল ১০টার পরও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। পথচারী, রিকশা ও ভ্যান চালক ও দুঃস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। কনকনে শীতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ মধ্যে অবস্থান করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে এলাকার প্রায় দুই লাখ দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। যা চাহিদার তুলনায় কম। তবে আরও শীত বস্ত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১৫ হাজার শীতের কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো হাতে পেলেই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।’