বরিশালে জেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
উপস্থিত ছিলেন- বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস এ মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সব ধর্মীয় নেতা ও বিশিষ্টজনরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে কুচক্রী মহল নানাভাবে বিদ্বেষ ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশাল নগর অশান্ত করতে যারা গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল এবং যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চেয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বরিশাল নগরের নদীবন্দর সংলগ্ন এলাকায় নাস্তার টাকা নিয়ে ক্রেতা ও ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ম্যানেজারের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। এ সময় গুজব ছড়ানো হয়, ক্রেতার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেছে। যার ওপর ভিত্তি করে একদল লোক এসে মিষ্টির দোকান ভাংচুর করে, সড়ক অবরোধও করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে দুই পুলিশসহ ৫ জন আহত হন। এরপর উত্তেজিতরা কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করেন বিচারের দাবিতে। আর কিছু লোক পুরো ঘটনার ভিডিও করে নানানভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ১০ টাকা নিয়ে বিবাদের ঘটনা নিয়ে এমন তুলকালাম কাণ্ড আগে কখনো কেউ দেখেনি। ১০ টাকার বিবাদ গুজব ছড়িয়ে ধর্ম অবমাননা পর্যন্ত নিয়ে যারা ঠেকিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।