অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি হিংসা করতেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের সম্পর্ক মেনে নিতে পারতেন না তিনি। এমন অভিযোগ ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত সুকেশ চন্দ্রশেখরের। তার দাবি, নোরা চেয়েছিলেন জ্যাকুলিনকে ছেড়ে তিনি যেন নোরার সঙ্গে সময় কাটান!
সুকেশের আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এই মামলায় তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে নোরা ও জ্যাকুলিনেরও। কারণ এই সুকেশের থেকেই একাধিক দামি উপহার, গাড়ি, গয়না নিয়েছিলেন দুই অভিনেত্রী। অর্থাৎ তাদের পিছনে বিপুল অর্থ খরচ করেছিলেন সুকেশ। জ্যাকুলিন ও নোরা যেখানে এই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মরিয়া, সেখানে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছেন সুকেশ। রোববার নিজের আইনজীবীদের মাধ্যমে ফের নতুন দাবি করলেন তিনি।
আইনজীবী অনন্ত মালিক ও একে সিং জানান, জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে সুকেশের মগজধোলাই করতেন নোরা। দিনে অন্তত ১০বার সুকেশকে ফোন করতেন নোরা। ফোন না তুললে লাগাতার ফোন করে যেতেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সুকেশ জানান, আমার আর জ্যাকুলিনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। তাই নোরাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু ও আমায় বারবার ফোন করে বিরক্ত করত। নানারকম সাহায্যও চাইত। সেটা করেওছিলাম। এছাড়াও আমায় দামি জিনিসপত্রের ছবি পাঠিয়ে কিনে দিতে বলত। ২ কোটি টাকার ব্যাগও চেয়েছে।
সুকেশ আরও দাবি করেন, ইডি ও ইওডির কাছে একাধিকবার নিজের বয়ান বদল করেছেন নোরা। তাতেই নোরার চরিত্র কেমন, তা বোঝা যায়। পাশাপাশি সুকেশ এও স্পষ্ট করে দেন, নিক্কি তাম্বোলি ও চাহাত খান্নার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক ছিল না। শুধুমাত্র পেশাদার যোগাযোগ ছিল। তিনি মহিলাদের সম্মান করেন। তাই নিজের বিরুদ্ধে কোনও মহিলাঘটিত অভিযোগ তিনি মেনে নিতে পারছেন না।