প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ২০১৪ সালে নির্বাচিত করেছে। ২০১৮ সালে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করেছে, এর একমাত্র কারণ হলো আমরা তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি। কাজেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।
আজ সোমবার গণভবন থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এসময় তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা মানুষকে একটি উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫-এর পর তা হয়নি। বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয় তখন। সংবিধান অমান্য করে মার্শাল ল জারি, সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি। ২১ বছর এভাবে সরকার পরিচালিত হয়েছে। যারা উন্নয়নের যে গতি তা ব্যাহত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র ছিল বলেই উন্নয়নগুলো সম্ভব হয়েছে। এই ধারা না থাকলে এত উন্নত হতো না। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা পরমাণু শক্তিতে যুক্ত হতে পেরেছি। এই পরমাণু দিয়ে আমরা বোমা বানাবো না, বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো।
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।’ ২০২৩ সাল হবে মন্দার বছর, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। দেশে যেন এর ধাক্কা না লাগে, সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার ব্যাপারে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের খাদ্য যদি আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি, তাহলে আমাদের ওপর মন্দার আঘাতটা আসবে না।