রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ‘মাগুরার দাদা’ বানিয়েছেন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনকে ‘মাগুরা উপনির্বাচনের দাদা’য় পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ থেকে আমাদের এমপিরা পদত্যাগ করেছেন। এই আসনের সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার নির্বাচনে যাওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার করেছি। তাকে জয়লাভ করানোর জন্য সমস্ত নীতি-নৈতিকতা বাদ দিয়ে আপনাদের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সাত্তারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আসিফকে গত তিনদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। মাগুরার কথা বলেন। ‘মাগুরার দাদা’ বানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।

সোমবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনের সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচির আগে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রার আজ দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিটি দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়। শ্যামপুরের জুরাইন রেল গেটের কাছাকাছি গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এটা মরণযাত্রা না। এ যাত্রা আপনাদের জন্য আগাম শোকযাত্রা।

তিনি বলেন, এটা আমাদের কোনো মরণযাত্রা না। আপনারা মরলে জানাজা পড়ানোর লোক থাকে না। তাই আমরা আগাম আপনাদের জন্য শোক মিছিল করছি। ভবিষ্যতে তো আপনাদের জন্য শোক মিছিল করার কেউ থাকবে না। সুতরাং এ শোক মিছিলের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারকে পতন করব। এই মাফিয়া সরকারের হাত থেকে এ দেশকে জনগণের হাতে তুলে দেব।

গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, এ অবৈধ সরকার সব ব্যাংক খালি করে দেশকে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। আমাদের এ পদযাত্রার মাধ্যমেই রাজপথ দখল করব এবং এ স্বৈরাচার সরকারকে পতন করব।

‘দেশের জনগণের একটাই দাবি, নিরপেক্ষ নির্বাচন। মুদ্রা পাচারকারী শিশু হত্যাকারী সরকারকে এ দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। কিন্তু এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, আশা করছি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারব এবং দেশের প্রকৃত মালিক জনগণকে তাদের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় পদযাত্রা শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আজিজুর বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, নবী উল্লাহ নবী, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মীর নেওয়াজ আলী, ইসহাক সরকার, হাবিবুর রশীদ হাবীব, রিয়াজ উদ্দীন নসু প্রমুখ।