বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করে বলেছেন, সরকার পতনের জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। আর এটি তাদের (আওয়ামী লীগ) সহ্য হচ্ছে না৷ আমরা কেনো জ্বালাও পোড়াও করি না, হরতাল করি না৷ সেজন্য তারা প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় আর মামলা হয় আমাদের নামে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিন্ডি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ৷
এ সময় দলটির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যসহ জেলা-উপজেলা ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতারা ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে ঠাকুরগাঁও হয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে গিয়ে দুপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন ও সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, যেসকল মন্দিরগুলোতে ভাংচুর হয়েছে আমরা সরেজমিনে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানকার স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। স্থানীয় সংসদ তাদের জমি দখল করে চা বাগানসহ অনেক কিছু গড়ে তুলেছেন।
সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ সরকার সবদিক থেকে ব্যর্থ। সবকিছুর দাম আজ বেড়ে গেছে। আর তারা ব্যাংক খালি করে সবকিছু লুট করে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি-গাড়ি করছে। সেদিকে যাতে কারো নজর না পড়ে এজন্য তারা প্রতিমা ভাংচুর করে অন্যদিকে মোড় নিতে চায়। আমরা বিচার বিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, গত রোববার ভোররাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নের ১২টি মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে সিন্দুরপিন্ডি হরিবাসর পরিচালনা কমিটির সভাপতি যতীন্দ্র নাথ সিংহ একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।