দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এর ব্যত্যয় ঘটার কোনও সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে মোহনগঞ্জ মহেশখলা ইয়ুথ ক্যাম্প ও ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা কারও ব্রডকাস্টে (প্রচারণায়) আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা বাংলাদেশের নেতা ছিলেন, তিনি ডাক দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরই বাংলার সন্তানরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই পাক হানাদাররা পরাজিত হয়েছিল। এটাই মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস।’ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে বিভিন্ন সময় ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম কবীর, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসীত সরকার সজল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
এ সময় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে, বাংলাদেশের ইতিহাস বহির্বিশ্বের মানুষ লিখতো, আর আমাদের নতুন প্রজন্ম সেটি পড়তো। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান হয়েছে, যা এখন সরকারের কর্মকর্তারা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের এই স্লোগানটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে একটি রাজনীতির মাধ্যমে।’