দুই শিশুর মঙ্গলের কথা চিন্তা করে তাদের বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মাকে একসঙ্গে বসে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার এ পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে পারিবারিক আদালতে ইমরানের করা মামলা খারিজের আদেশও স্থগিত করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেন বাবা প্রকৌশলী ইমরান শরীফ।
এদিন আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাসিমা আক্তার। আর মায়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। উভয়পক্ষের শুনানির শেষে আপিল গ্রহণ করে আদালত বলেন, এক শিশু বাবার কাছে আরেকজন মায়ের কাছে থাকতে চায়। আইনজীবীসহ আপনারা শিশুদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে আদালতের বাইরে একত্রে বসুন।
আদালত বলেন, শিশুরা কার সঙ্গে থাকবে, সে বিষয়ে তারা একেক সময় একেক কথা বলবে। কিন্তু আপনারা তাদের কল্যাণের বিষয়টি দেখবেন। ন্যাচারাল ট্রেন্ড, ন্যাচারাল ল’-এর বিষয়টি আসল। পাশাপাশি মামলার নথি তলব করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম (মিলন) এসব তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালত দুই মেয়েকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। ছোট মেয়ে বাবার কাছেই রয়েছে। তাকে উদ্ধারে মা গুলশান থানায় জিডি করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত খাস কামরায় ছোট মেয়ে লায়লা লিনার বক্তব্য শোনেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একদিন বাবার কাছে এবং আরেকদিন মায়ের কাছে থাকার আদেশ দেন আদালত।