আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে। এইবার আপনারা পার পাবেন না। পার পাওয়ার কোনো পথ নাই।
তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) যত ঝারিঝুরি করেন না কেন আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ছিলেন খায়রুল কবির খোকন। বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এরকম একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ করা মানে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করা। মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহকে মাজায় দড়ি বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকেপ পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এরা সালেহকে মাজায় দড়ি বাঁধে নাই, দেশের গণতন্ত্রের মাজায় বেধেছে। দেশের স্বাধীনতার মাজায় দড়ি বেঁধেছে। এদের বিচার হওয়া উচিত। তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের অনুসারীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি’র গণতন্ত্রের ইলেকশনের বাইরে কী কোনো পথ আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা যে সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন এটা এক মিনিটের মধ্যে ঠিক করা যায়। বিএনপি’র দিকে বন্দুক ঘুরাবেন না নিজের দিকে ঘোরান। তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে সংবিধান ধ্বংস করেছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে আর কিছুদিন পরে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি এ পর্যন্ত যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গিয়েছে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলেছি। নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারকে পতন ঘটাতে চাই। কিন্তু সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান- এই স্বপ্ন বাদ দেন। আগামী দিনের সরকার হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের সরকার। সেটা বিএনপি সরকার। নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আওয়ামী লীগ বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে সে টাকা ফেরত আনতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আর সেই জন্যেই আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহিম প্রমুখ।