সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশটির কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ষষ্ঠবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানি মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সেনাবাহিনীকে জ্বালানি, অস্ত্র ও তহবিল সরবরাহকারী বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিসহ ৯ জন কর্মকর্তা ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করা হয়েছে।
ইইউ নিষেধাজ্ঞা এখন মিয়ানমারের মোট ৯৩ জন ব্যক্তি ও ১৮টি সত্তার জন্য প্রযোজ্য হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে। সামরিক শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। সেনাবাহিনী নির্মমভাবে বিদ্রোহ দমন করছে।
যার কারণে তাদের ওপর বারবার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার গত বছরের মার্চে এক প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারে প্রায় ১২ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বৈধ অভিযান পরিচালনা করছে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব।