সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ওমান সফর করেছেন। গতকাল সোমবার তিনি দামেস্ক থেকে রাষ্ট্রীয় সফরে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে পৌঁছান। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম তিনি বিদেশ সফর করলেন। মাস্কাট পৌঁছে বাশার ওমানের সুলতান হাইসাম বিন তারিক আল সাঈদের সাথে বৈঠক করেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট আসাদের নেতৃত্বে সিরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল বহনকারী বিমান মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং ওমানের সুলতান তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় ওমানের সুলতান ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি সিরিয়ার এই ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে ওমানের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দেন।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার জনগণের জন্য ওমানের পক্ষ থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা ও সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সুলতান এবং তার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া, উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার প্রতি ওমানের সমর্থনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
সিরিয়া এবং ওমানের মধ্যকার বহু বছরের পুরনো সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা কথা বলেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া, সর্বশেষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বলেন, আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে ওমান সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করেছে। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওমানের ভূমিকা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সিরিয়া সঙ্কট শুরুর পর আরব অঞ্চলের যে অল্প কয়েকটি দেশ দামেস্কের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে এসেছে ওমান তার অন্যতম। পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এবং আমেরিকার চাপের কাছেও দেশটি সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ক্ষেত্রে মাথা নত করেনি। সূত্র : পার্সটুডে