আন্তর্জাতিক

পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনির গুলিতে ২ ইসরাইলি নিহত

পশ্চিমতীরের শহর নাবলুসের কাছে হাওয়ারা চেকপয়েন্টে ফিলিস্তিনির হামলায় দুই বসতি স্থাপনকারী নিহতের পর ঘটনাস্থলে ইসরাইলি সেনাদের অবস্থান।

রোববার ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারী গাড়িতে থাকা দুই ইসরাইলিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় সেখানে নতুন করে সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। খবর আলজাজিরার।

এদিকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে সহিংসতা কমানোর অঙ্গীকার করেছে ইসরাইলি সরকার এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান সহিংসতার অবসানে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতিও ঘোষণা করেছে উভয়পক্ষ।

রোববার জর্ডানের মধ্যস্থতায় দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিরল আলোচনা থেকে এ পদক্ষেপ দেওয়া হয়।

এদিকে আলোচনা চলাকালে অধিকৃত পশ্চিমতীরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী দুই ইসরাইলিকে গুলি করে হত্যা করে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বন্দুকধারীর পিছু নিচ্ছে এবং পশ্চিমতীরে মোতায়েন সেনা সংখ্যা আরও শক্তিশালী করছে। পরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সেখানে অতিরিক্ত আরও দুই ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করে।

ইসরাইল নিশ্চিত করেছে, নাবলুসের নিকটবর্তী হাওয়ারা গ্রামে নিহতদের মধ্যে একজন সেনা ছিলেন। ইসরাইলের সরকার হাওয়ারায় হত্যাকাণ্ডকে ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে।

এদিকে রোববারের এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বসতি স্থাপনকারীদের একটি বড় দল একই গ্রামে প্রবেশ করে এবং পাথর ছুড়তে শুরু করে। পরে তারা সেখানকার গাছ ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ফিলিস্তিনি সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১৫টি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু পরিবারকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন।

পশ্চিমতীরের কাছাকাছি জাতারায় ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এবং সেনারা গ্রামে প্রবেশ করার সময় একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম ও গাজাসহ পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরাই। তখন থেকে ইহুদি এ দেশটি দখলকৃত ভূখণ্ডে কয়েক হাজার ইসরাইলি বসতি স্থাপন করেছে। যদিও এই ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে চায়।