প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রমজান মাসে জনজীবনের পবিত্রতা ও শান্তিকে উপেক্ষা করে আন্দোলনের জন্য বিএনপির আহ্বানের সমালোচনা করে দেশবাসীকে উন্নয়নের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আন্দোলনের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এই রমজান মাসেও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।’
তাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্তত এই রমজান মাসে তো জনগণকে আন্দোলন থেকে নিস্তার দেন।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আজ সোমবার ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন যে রমজান মাসে বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনে খালেদা জিয়া ১৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যারা রমজান মাসে মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, তারা রমজান মাসের প্রতি সম্মান দেখাবে কি করে? তাই তো তারা এই মাসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাস ও মানুষের দুর্ভোগের প্রতি তাদের কোনো অনুভূতিই নেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো ইফতার পার্টি না করে- রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য তাদের মধ্যে এই অর্থ ও খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় দেশের প্রতি সম্মান দেখাতে বাধ্য হলেও গণতন্ত্র ও উন্নয়ন না দেখা বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও কয়েকজন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করতে বাধ্য হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তার সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, এমপি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে হুমায়ুন কবির ও এসএম মান্নান কচি বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ, এমপি ও সহ-সভাপতি সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।