চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। বুধবার (৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে সাক্ষাৎ করেন তারা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিমি উপত্যকার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কেভিন ম্যাকার্থি ও সাই ইং-ওয়েন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৭৯ সালের পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
এ সময় ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাকার্থিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাই ইং-ওয়েন বলেন, আমি আনন্দিত বোধ করছি। আমরা যখন একসঙ্গে থাকি তখন আমরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠি।
মার্কিন প্রশাসন এক চীন নীতি সমর্থন করলেও তাইওয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তাইওয়ানকে সামরিক-অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এমনকি তাইওয়ানের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় অংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর বেইজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেন সাবেক মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। প্রতিবাদে তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীনা সামরিক বাহিনী। এতে তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় চীনের।