খেলাধুলা

রদ্রিগোর জোড়া গোলে সেমিতে রিয়াল

চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে থাকতে সব চেষ্টা করেছে চেলসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জিততে পারেনি তারা। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিগোর জোড়া গোলে আবারও জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল কার্লো আনচেলত্তির দল।

মঙ্গলবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এগিয়ে গেছে আরেক ধাপ। গ্রাহাম পটারকে বিদায় করার পর টানা চার ম্যাচে হারল চেলসি। তিন দশকের মধ্যে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হলো তাদের; এর আগে সবশেষ টানা চার ম্যাচে হেরেছিল ১৯৯৩ সালে! ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা কোনো দলের জন্য ঘরের মাঠে একটাই পথ খোলা থাকে— আক্রমণ। রিয়ালের গতিময় উইঙ্গারদের হুমকি মেনে নিয়েই সেটিকে আপন করে নেয় চেলসি।

খেলার ১১ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগে এগিয়েও যেতে পারত তারা। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়েছিলেন অরক্ষিত এনগোলো কঁতে। এত কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফরাসি মিডফিল্ডার। পাল্টা আক্রমণে ২০তম মিনিটে এগিয়ে যাচ্ছিল রিয়াল। দানি কারভাহালের কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান রদ্রিগো। অরক্ষিত ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির শট পোস্টের বাইরের দিকে লেগে বেরিয়ে যায়।

চেলসির একের পর এক আক্রমণ ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দিতে থাকেন এদের মিলিতাও, কারভাহালরা। প্রতি-আক্রমণে সুযোগ পেলেই তারা ভীতি ছড়াচ্ছিলেন স্বাগতিকদের রক্ষণে। ৩২তম মিনিটে কারভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে কেপা আরিসাবালাগার পরীক্ষা নেন লুকা মদ্রিচ। তবে স্প্যানিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। ১০ মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় রিয়াল। মদ্রিচের দুর্দান্ত ক্রসে ছুটে গিয়ে নাগালেই পেয়েছিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র, কিন্তু ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

পরের মিনিটে থিবো কোর্তোয়ার কাছ থেকে নিজেদের ডি-বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে ফেদে ভালভেরদে দ্রুত গতিতে প্রতিপক্ষের বক্সে পৌঁছে যান। উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডারের ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা। ৪৫তম মিনিটে কোর্তোয়ার দুর্দান্ত সেভে বেঁচে যায় রিয়াল। ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে দূরের পোস্টে মার্ক কোকোরেইয়ার বুলেট গতির শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। দুটি দারুণ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার নিদারুণ হতাশায় বিরতিতে যায় চেলসি।

৫৩তম মিনিটে চেলসিকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কনর গ্যালাঘার। তবে দারুণ ব্লকে জাল অক্ষত রাখেন মিলিতাও। পাঁচ মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় রিয়াল। ডান দিক দিয়ে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে বাইলাইন থেকে কাট ব্যাক করেন রদ্রিগো। দূরের পোস্টে বল পেয়ে নিজে শট না নিয়ে ভিনিসিউস ফের খুঁজে নেন রদ্রিগোকে। ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন তিনি। পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে গতি বাড়াতে জোয়াও ফেলিক্স, রাহিম স্টার্লিংদের নামান চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ফাটল ধরানো যায়নি রিয়ালের জমাট রক্ষণে। ৮০তম মিনিটে আরেকটি পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় রিয়াল।

ভিনিসিউসের কাছ থেকে বল পেয়ে গতি আর পায়ের কারকুরিতে সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান ভালভেরদে। গোলরক্ষক আরিসাবালাগাকে এগিয়ে আসতে দেখে শট নেননি উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার। বাইলাইনের কাছ থেকে তার কাট ব্যাকে বল পেয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন রদ্রিগো।

একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে নাপোলির মাঠে ১-১ ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে এসি মিলান।