আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার, সুযোগ নয়। আওয়ামী লীগ কেন তাদের অনুগ্রহ করবে, ডেকে আনবে? আওয়ামী লীগ তাদের কোনো ফাঁদে ফেলছে না।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর এক হোটেলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তর সংক্রান্ত বৈঠক ও সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক কর্মশালা শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে সংলাপ এবং নির্বাচনকালীন সরকারে ডাকা হয়নি। এখানে প্রলোভনের ফাঁদের প্রশ্ন আসে কেন?
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এই তিন দাবি বিএনপির। বিএনপির এসব দাবি নিয়ে বিদেশিরা একটি কথাও বলেনি। কোনো চাপ বা প্রস্তাব দেয়নি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছিলেন, তার মা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কি না জানা নেই। আর নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের।
এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতে যানবাহনকে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক মোটরযানে রূপান্তর করা হবে। আগামী নভেম্বরের বিআরটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে ১০০টি ডাবল ডেকার এসি বাস। এরমধ্যে ৮০টি চলবে ঢাকায়, ২০টি চট্টগ্রাম মহানগরীতে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগ ও জেলা শহরেরও তা সম্প্রসারণ করা হবে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের কোঅপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন, ইউনিসক্যাপের পরিবহন বিভাগের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগীয় প্রকৌশলী মাদান বি রেগমি।