মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (নারকোটিক্স) আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাটি সঠিক নয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) ডিআইজি তানভীর মমতাজ।
এর আগে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নজরদারিতে রয়েছেন গায়ক নোবেল। সেখানে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের মাতলামোর ঘটনার পর মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)।
এদিকে বুধবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) ডিআইজি তানভীর মমতাজ বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘গায়ক নোবেল কিংবা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কখনো কোনো কথা বলিনি। আমাদের কথা একটাই, দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি নজরদারি রয়েছে আমাদের।’
তানভীর মমতাজ বলেন, ‘এছাড়া দেশের সব হাই কিংবা লো-প্রোফাইল সিটিজেন, গায়ক কিংবা অভিনয় শিল্পীও হতে পারে। যে যেখানে মাদকাসক্ত হবেন তাদের প্রতি আমাদের নজরদারি থাকবে। কারো বিরুদ্ধে মাদকাসক্তের বিষয় প্রমাণ হলে তখন আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
কথা প্রসঙ্গে গায়ক নোবেলের ইস্যুটি ফের সামনে চলে আসে। জানতে চাওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে মাদকসংশ্লিষ্ট কোনো অভিযোগ পেয়েছে কিনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো তার (নোবেল) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার অর্থ এই নয় ব্যবস্থা নেয়া। অভিযোগ যাচাই-বাছাই বা তদন্তের ব্যাপারও থাকে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে পারফর্ম করতে উঠে মাতলামো এবং অসংলগ্ন আচরণ করেন নোবেল। মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে তার এমন আচরণে উপস্থিত দর্শকরা বোতল ও জুতা ছুড়ে মারেন নোবেলকে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যালে।