বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। গণতন্ত্র নিয়ে অন্যদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছু নেই। বরং অন্যরা আমাদের থেকে শিক্ষা নেবে।’
আজ বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারত মহাসগরীয় আঞ্চলিক সম্মেলন-২০২৩ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা ভোট দিতে চায়, তারা ভোট দিতে পারে। আমাদের দল আর ভোট যার যার। যাকে ইচ্ছা তাকে দেবে। এ সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকার করেছে, দেশে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করবে। এটি করতে যা যা দরকার তা আমরা করেছি। আমরা একটা স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন করব। অন্য দেশ কী ভাবল তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান, জলবায়ু, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিসহ অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচনও একটি চ্যালেঞ্জ। ইউরোপে কোনো কোনো দেশে ৩০ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয় না। আমেরিকাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ছাড়া ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়ার নজির খুব কম। বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭২ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়। আর ভুয়া ভোট যাতে না হয় তার জন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা করেছি, বায়োমেট্রিক সুবিধা করেছি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সব দলের কমিটমেন্ট থাকতে হবে। সবাই মিলে কমিটমেন্টটা নিশ্চিত করতে পারলেই স্বচ্ছ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।’