জাতীয়

আশুলিয়ায় আবারো গ্যাস রিফিল কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আবারো অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুদ ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ দূর্ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে অন্তত পাঁচজন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লালের অবৈধ কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, গুদামের মালিক বেলাল মিয়া (৪০), কর্মচারী মো: নূরন্নবী (২০), সোহাগ (১৯), মাহবুব (৩৫) এবং মো: শরিফুল (২৮)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, ওই কারখানায় বিল্লাল নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করতেন। পরে ৪৫ লিটার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার থেকে খালি সিলিন্ডারে বালু ও পানি ভরিয়ে গ্যাস রিফিল করতেন। প্রতিদিনের মতো সকালে গ্যাস রিফিল করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে নিমিষেই চারদিকে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়েছে পাঁচজন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো: ওয়ালি উল্লাহ জানান, সকাল ১০টার দিকে টিনসেড গোডাউনে বিস্ফোরণের খবর পাই। আমাদের ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় সিলিন্ডার গুদামের মালিক বিল্লাল ও তার দুই কর্মচারীসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।

আরেক গ্যাস রিফিল সিলিন্ডার ব্যবসায়ী নুরন্নবি বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৪০-৫০টি এমন কারখানা রয়েছে। যেখানে বালু ও পানি মিক্সার করে সিলিন্ডারে ভরে গ্যাস অর্ধেক রিফিল করা হয়। গত ৪ মে সোহরাবের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকে আমি রিফিল করা বন্ধ করে দিয়েছি। এখানে লালন, করিম, বাদল, খোকন, বিল্লাল, বেলালসহ বিভিন্ন রিফিল ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হলেও তারা এখনও গ্যাস রিফিল করছেন। কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই সিলিন্ডার মজুদ করে রিফিল করা হয়। আমরা শুধু গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে থাকি।

এ ব্যাপারে অবৈধ গ্যাস রিফিল কারখানার মালিক বিল্লালের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে আশুলিয়ার উত্তর কাঠগড়া এলাকার সোহরাব ও রাজিবের মালিকানাধীন অবৈধ কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় দু’জন দগ্ধ হন। ওই ঘটনার প্রায় নয় দিন পর আজ একই ধরনের কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটল।