জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের আড়াই লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে। বুধবার (১৭ মে) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের জনগণ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বঙ্গোপসাগর দিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে আঘাত করে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এবং শরণার্থী শিবিরের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রভাবিত করে।
ঝড়টি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। যার ফলে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। যার ফলে ব্যাপকভাবে ঝড়, বন্যা ও ভূমিধস হয়।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিগত পাঁচ দশকের অংশীদারিত্বে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়াদান উন্নত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে, মার্কিন সরকার ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৯০০টি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
আগাম সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করেছে, যা লক্ষাধিক মানুষকে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ তৎপরতায় সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।