হবিগঞ্জে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় তাঁরা হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নেন।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে হবিগঞ্জ শহরে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না। তীব্র গরমে বিদ্যুতের অসহনীয় মাত্রায় লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। স্থবির হয়ে পড়েছে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় সড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত সংকট সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
এর আগে একই স্থানে দাঁড়িয়ে নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল, নারীনেত্রী মাহমুদা খাঁ, নাদিয়া খাঁ, প্রণব কুমার প্রমুখ।
বাপা হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, পার্শ্ববর্তী জেলার তুলনায় হবিগঞ্জে দ্বিগুণ লোডশেডিং হচ্ছে। তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তিনি।