বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বহিরাগত নেতাকর্মীতে বরিশালের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্ট হাউজ ছেয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
তাছাড়া ‘এলাকা ঘেরাও করে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা বস্তি বা কলোনির ভোটারদের টাকা দিচ্ছে, নির্বাচন কমিশন একপক্ষীয় আচরণ অব্যাহত রেখেছে এবং শেষ সময়ে এসেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রোববার (১১ জুন) সকাল ১০টায় তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তাপস।
তিনি বলেন, শহরের হোটেল, রেস্ট হাউজ সবগুলো বহিরাগত লোকজনে ভরা। প্রশাসন বহিরাগত সরাতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। আগামীকাল হতে যাওয়া নির্বাচন ২০১৮ সালের দখলদারিত্ব, অনিয়মের ভোট হতে যাচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরি হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরিশালে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবেন তা এখনো তৈরি হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে বারবার আমি বলেছি, বরিশাল শহর বহিরাগতে ভরে গেছে। একজন বহিরাগতও সরায়নি পুলিশ।
ইকবাল হোসেন তাপস আরো বলেন, খুবই দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, দুটি গোয়েন্দা সংস্থা তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নগ্নভাবে ভোট চাইছে। তাদের সাথে রাতে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে বস্তি ঘেরাও করছে, সেখানে ভোটারদের টাকা দিচ্ছে। নৌকার প্রার্থী সব আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। গতকাল রাতেও আমি তাদেরকে মিছিল করতে দেখেছি।
আমাদের সাধারণ কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছি আজকে রাতে তারা আমাদের এজেন্টদেরকে কতটা হুমকির মুখে রাখে। আমাদের এক ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদকের বাসায় সাদা পোশাকধারীরা গিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমাদের এবং ভোটারদের কোনো অভিযোগই নির্বাচন কমিশন আমলে নিচ্ছে না।
তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ আচরণ করার আহ্বান রেখে বলেন, আজকের মধ্যে শহর থেকে সব বহিরাগত যেন সরানো হয় সরকারের কাছে সেই দাবি করছি। আমি মনে করি, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চাইছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল উপস্থিত ছিলেন।