জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার মোট ১৩ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানভীর আহমেদের আদালতে শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন। বাবু চেয়ারম্যান ছাড়া ছয়জনের চার দিন এবং বাকি ছয়জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিন প্রথমে নয়জনকে এবং পরে আরও চারজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ১৩ জনের মধ্যে ৯ জনকে জামালপুর পুলিশ গ্রেফতার করে। রোববার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। আর চেয়ারম্যান বাবুসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
এর আগে শনিবার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম খুনের ‘হোতা’ হিসেবে চিহ্নিত বাবুসহ চারজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল র্যাব। রোববার ভোরে বাবুসহ চারজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। পরে দুপুরে তাদের আদালতে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের পর পরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম শনিবার সকালে বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় ২২ জন ও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান বাবুকে থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় নাদিমের স্বজনসহ স্থানীয়রা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বকশীগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে রোববারও জামালপুরে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা।