ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। কাছের মানুষদের সাথে দিনটি কাটাতে ঢাকা ছেড়ে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ। তাই রাজধানীর কমলাপুরে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষরা। এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। এখন পাওয়া যাচ্ছে ফিরতি টিকিট।
সোমবার ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন চলছে। সকাল থেকেই লাইন ধরে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন। তবে টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কোনো যাত্রী বিনা টিকিটে স্টেশনে ঢুকতে পারছেন না।
অন্যদিকে এবারের ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও নেই কোনো অভিযোগ। যথা সমায়েই ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এর আগে গত ১৪ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
আর ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয় ২২ জুন থেকে। সেই হিসাবে ২২ জুন দেয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হচ্ছে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।
এবারও ঈদযাত্রায় আসনবিহীন বা স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশন থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে। শুধু যাত্রা শুরুর দিন আসনবিহীন টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এবার ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে আন্তনগর ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় ২৯ হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হবে। আর কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন আজ।
এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেয়া হলেও টিকিট বিক্রিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। অনলাইনে দুই ভাগে দেয়া হয় অগ্রিম টিকিট। ঈদযাত্রায় পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা সব আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় সকাল ৮টা থেকে। আর দুপুর ১২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি ও ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির ফলে রেলের লাভ লোকসান বিবেচ্য বিষয় নয়। যাত্রী সাধারণরা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে ঈদ যাত্রা যেন করতে পারে এটাই আমাদের লক্ষ্য।