সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার চায় সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি দল রুটিন দায়িত্ব পালন করবে ও নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে লুকোচুরির কিছু নেই।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথা জানিয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো উদ্বেগের কথা তারা বলেননি। তারা ভালোটা আশা করছেন। খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বাংলাদেশে একটা শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক এটা তারা চেয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী ও পরিপক্বতা অর্জন করুক এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ভিয়েনা কনভেনশন ৪১ ধারা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবে। এতে কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচন নিয়ে নানা কথা আছে। সে জায়গায় পর্যবেক্ষক আসুক আমরা চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে বিএনপি আসবে কি আসবে না এটা বিএনপি’র বিষয়। রাজনীতি সমঝোতার দিকে যাবে কি না তা এখনই বলা যাবে না। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, ভারতের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আওয়ামী লীগের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ মাসের শেষের দিকে ভারত সফরে যাবেন। সেখানে নির্বাচন না দলীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগ্রহ আছে। সেজন্য ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে তারা আলোচনা করবে। ভালো নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি দল মতামত দিবেন।