গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে গুম-খুনের শিকারের স্বজনেরা ও চাকরি এবং ভোট থেকে বঞ্চিত হওয়া তরুণেরা বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্যে আর্তনাদ করে বিচার চাইলেন।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে তারা বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
গুম-খুনের শিকার পল্লবী যুবদল নেতা নূরে আলমের স্ত্রী লুনা বলেন, আমার স্বামীর সন্ধান চাই।
মুন্সিগঞ্জে নিহত বিএনপি-কর্মী শাওনের বাবা সোয়েব আলী বলেন, ‘বাবার কাঁধে সন্তনের লাশ যে কত কষ্টের- তা বাবা ছাড়া কেউ বুঝবে না। বিএনপি করায় আমার ছেলের বুকে গুলি করা হয়েছে। এই অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলনে আমিও শরিক হলাম। আমিও শহীদ হতে চাই।
সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা আক্তার তুলি বলেন, এই সরকার আমার ভাইকে গুম করেছে, এই সরকারের সময় আর বেশি নাই, আমরা গুম-খুন হওয়া পরিবারগুলো রাজপথে নেমেছি, আমরা একজনকেও ছাড়বো না। প্রতিটি গুম-খুনের বিচার করে ঘরে ফিরবো।
পুলিশের গুলিতে নিহত খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির বাবা ইয়াকুব আলী বিলাপ করে বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে, খুন করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও ভেঙ্গে দিয়েছে, আমি আমার ছেলে জনি হত্যার বিচার চাই, আমার জনির খুনিদের বিচার চাই।
ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রকাশ করার কারণে আমাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। আমি ফেসবুকে বলেছিলাম- স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। একথা বলায় সরকারের দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে একদিনের নোটিশে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়। আমিও এখন এই স্বৈরাচার পতনে রাজপথে আছি।
গুমের শিকার সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল বলেন, দীর্ঘদিন আমার হাত-পা-চোখ বেঁধে রাখে আয়নাঘরে। তারা আমার গলায় পা দিয়ে নিপীড়ন করেছে।