রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশে উপস্থিত হতে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে নগরীর অলিগলি লোকে লোকারণ্য।
আজ বুধবার রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে সকাল থেকেই সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সামনে সমবেত হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। অনেকে এসেছে পৌঁছেছেন রাতেই। ফুটপাতে রাত কাটিয়েছেন তাদের কেউ কেউ। সমাবেশের প্রবেশ গেটে ইতিমধ্যে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ব্যাপক। স্লোগানে স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে তুলেছেন তাঁরা।
সকালে দেখা যায় রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মোাতাহার হোসেন মন্ডল মওলার উদ্যোগে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। রাতেই এসেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জাম বাবলুর নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী। তাঁদেরও দেখা গেছে সমাবেশস্থলের প্রবেশ দ্বারে অপেক্ষারত।
জিলা স্কুল মাঠ ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জনসভার মাঠে প্রবেশের জন্য তিনটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেটগুলোতে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। একটি গেট দিয়ে লাল, হলুদ ও সবুজ কার্ডধারী নেতারা প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া মঞ্চের সঙ্গেই অপর আরেকটি ভিআইপি গেট রয়েছে। যে গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে চোখে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। যারা মাঠে প্রবেশ করবেন, তাদের প্রত্যেককে পুলিশ তল্লাশি করবে। এছাড়া কড়া নজরদারী চালাচ্ছে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরাও।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ডিসি (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন জানান, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পথে পথে রুট ডিউটি, চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে দায়িত্বরত আছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই সিসিটিভির কাভারেজে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে- দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।