সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ১৪ দলের নেতারা। বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা বলেছেন, দেশে আর কোনো অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যে কোনো মূল্যে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা হবে। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের লড়াইয়ে শামিল হবে এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করবে। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, জাতীয় পার্টি-জেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রুবেল প্রমুখ। সমাবেশে ১৪ দলের শরিক প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত হলেও আমির হোসেন আমু ছাড়া দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের।
আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা চাই, এ দেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকুক। কোনো ধরনের অসাংবিধানিক ধারা চলবে না।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৩ সালে যখন সারা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছিল, তখন বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বানচালের নামে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। তখন তারা অন্তত দেড়শ মানুষকে মেরেছিল, পুড়িয়েছিল। সেই আলামত আবার আমরা আগস্ট মাসে দেখতে পাচ্ছি। তারা এখন জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাদের প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল (মঙ্গলবার) দেখলাম মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে গেলেন এবং সেখানে জবাবদিহিতা দাবি করছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তোমরা সীমা লঙ্ঘন করেছ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছ। যুক্তরাষ্ট্র থামো। তোমরা তোমাদের নির্বাচন সামলাও। আমরা আমাদের নির্বাচন সামলাব।
শিরীন আখতার বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের শত্রু। স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য তাদের সব অপকর্ম। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানকেও রক্ষা করবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা জানি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর অভাব হয় না। সেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ওপর ভর করেছে বিএনপি। তারা (বিএনপি) মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আমার বাংলাদেশকে নস্যাৎ করতে চাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে না, আরও শক্তি আছে।