বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে ‘আলাপ-আলোচনা চলছে’ বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা কিন্তু আমাদের সরকার দায়ের করেনি। এই মামলা করেছে তাদের পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে। কারণ ইয়াজ উদ্দিন সাহেব খালেদা জিয়ার দলের মানুষ ছিলেন। তাকে খালেদা জিয়া ও বিএনপিই রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। ফখরুদ্দিন সাহেবকে ওয়াশিংটন থেকে ধরে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সরকার সেনাসমর্থিত ছিল। তখন যিনি সেনাপ্রধান ছিলেন, সাতজনকে ডিঙ্গিয়ে খালেদা জিয়া তাকে সেনাবাহিনীর প্রধান বানিয়েছিলেন। তাদের পছন্দের মানুষরাই যখন ক্ষমতায় তখনই এই মামলা দায়ের হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা পরায়ণ হলে দলের পক্ষ থেকেই মামলা করা হত বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আসলে আইন, আদালত কোনো কিছুর ওপর তাদের (বিএনপি) আস্থা নেই এবং কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়, আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে।’
বিএনপিকে ‘নেতৃত্বশূন্য করতে’ নির্বাচনের আগে তারেক ও জুবাইদার সাজা দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ দলটির নেতারা করেছেন, সে বিষয়েও তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি স্বঃপ্রণোদিত হয়ে কোনো কিছু করত, তাহলে এই মামলার রায় হওয়ার জন্য তো সাড়ে ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হত না। নির্বাচন তো এর আগেও দুটো হয়েছে, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন। এটার সঙ্গে নির্বাচনের তো কোনো সম্পর্ক নেই, আমাদের সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মোটেই করেনি। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার হয়েছে, বিচারের রায় হয়েছে।’
বুধবার (২ আগস্ট) রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ‘স্মরণকালের বিশাল সমাবেশ’ হয়েছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জনসভার ডাক দিয়েছিলাম, সেটি মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে। পুরো রংপুর শহরটা জনসভাস্থলে রূপান্তরিত হয়। লাখ লাখ মানুষ সেখানে যোগদান করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আমরা দেখতে পেয়েছি শেখ হাসিনাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য, জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য, এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে কতটুকু ভালোবাসে এবং শেখ হাসিনার ওপর মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে।’