রাজনীতি

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো মতেই নির্বাচন করা যাবে না

নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। যার উপর ভর করে ক্ষমতায় গেলে তার কথায় দেশ চালাতে হবে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। একজনকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে দেশকে ধ্বংস করতে পারি না। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবাইকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো মতেই নির্বাচন করা যাবে না। জাতীয় সরকারের অধীনেরই নির্বাচন দিতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে নেয়ায় বিদেশিরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দায়-দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারকেই নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে দেয়া যায় না। অবৈধ সরকার উৎখাতে কঠিন আন্দোলন আসছে।
আজ শনিবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ভারতে নিরীহ মুসলিম গণহত্যা, বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করীমের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মিছিলপূর্ব সমাবেশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারি মাসউদ, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো মশিউর রহমান, মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ, ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসদুর রহমান, মুফতী মাসউদুর রহমান, আলহাজ এম এইচ মোস্তফা, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মাওলানা মুহাম্মাদ আলআমিন সোহাগ, মুফতী হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইউসুফ পিয়াস।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, প্রত্যেক নাগরিক ১ লাখ ৫ হাজার টাকা করে ঋণের বোঝা বহন করছে। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, চিকিৎসা বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গণসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মাদরাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল হত্যার কারণেই আয়ামী লীগের গদিতে আগুন দেয়া উচিত। এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচারের খবর শেখ হাসিনা জানেন এবং এই পাচারের সাথে শেখ হাসিনা জড়িত। ফ্ল্যাট ব্যবসা আজ বন্ধের পথে। সব কিছু থেকেই ভ্যাট ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। একজন ভিক্ষুককেও ভ্যাট দিতে হয়। ডলারের দাম দিন দিন বাড়ছে। দেশে অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে। ঘুষের মাত্রা এখন লাখ টাকা থেকে কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের পর দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউল করীমে খুনীরা আজো গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে হাফেজ রেজাউল করীমের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার করতে হবে। যেই সরকার জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তিনি বলেন, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব ব্যাপারে সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে। পরে মুফতি ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।