আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ কখনও চলেনি, কখনও চলবেও না। আমার স্বাধীন, আমরা সার্বভৌম।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে মানিকচক স্কুল মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
রাসিক মেয়র বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের মেধাবী ছাত্রদের মাদকাসক্ত, টেন্ডারবাজি ও অস্ত্রবাজি শিখিয়েছিলেন। সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোটের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিলেন। তার ছেলে তারেক রহমান কোনো লেখাপড়া করেননি। কোনো বিদ্যালয় বা কলেজ থেকে শিক্ষাসনদ অর্জন করেননি। তিনি বিদেশে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। জিয়াউর রহমান দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিলেন। তিনি খুন, ষড়যন্ত্র এবং গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলেন।’
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করেছিল, অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। সে সময়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছিল। জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে সৈনিকদের খুন করেছিলেন। জিয়ার শাসন ছিল এদেশে বিভীষিকাময়। কিন্তু এখন সে সময় আর নেই। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জনগণ চাচ্ছে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করুক। দেশের মানুষ শান্তি চায়, তারা শান্তিতে ঘুমাতে চায়-এ কারণে নৌকায় আবারও ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করবে।’
বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়সহ প্রমুখ।
