প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সংবর্ধনা বর্জন করেছে বিএনপি সমর্থক ও সরকার বিরোধী আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সংবর্ধনায় অংশ না নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিদায়ী সংবর্ধনা বর্জন সভা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে এ সভা করা হয়।
সভার ব্যানারে লেখা ছিল বিচার বিভাগকে আওয়ামী বাকশালীকরণ ও সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং বারের ভোট ডাকাত-অবৈধ দখলদারদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিবাদে প্রধান বিচারপতির বিদায়ী সংবর্ধনা বর্জন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদলের সভাপতিত্বে ও ইউনাইটেড লইয়ার ফ্রন্টের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের যুগ্ম কনভেনর মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড লইয়ার ফ্রন্টের সদস্য সচিব সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, আইনজীবী আবেদ রাজা, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, ইউনাইটেড লইয়ার ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, গোলাম নবী প্রমুখ।
এতে অংশ নেন মুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক ট্রেজারার রাগীব রউফ চৌধুরী, মো: কামাল হোসেন, আইনজীবী মো: আক্তারুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সাবেক সহ-সম্পাদক মোরশেদ আল মামুন লিটন, আইনজীবী রেজাউল করীম রেজা, হুমায়ুন কবীর মনজু, সৈয়দ মো: তাজরুল হোসেন, মাহমুদ হাসান, মাহবুবুর রহমান খান, সগীর হোসেন লিওন, আবদুল্লাহ আল মাহবুব, শরীফ ইউ আহমেদ, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মো: জহিরুল ইসলাম সুমন, শহিদুল ইসলাম সপু, মাহফুজুর রহমান মিলন, মিজানুর রহমান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, সালমা সুলতানা, ফাতেমা আক্তার, আনিসুর রহমান রায়হান, মো: মাসুদুল আলম দোহা, মো: মাকসুদ উল্লাহ, এ কে এম এহসানুর রহমান, মু. কাইয়ুমসহ শতাধিক আইনজীবী।
বিদায়ী সংবর্ধনা বর্জন সভায় সুব্রত চৌধুরী শপথবদ্ধ বিচারপতিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যখন আইনজীবী ছিলেন তখন এই সুপ্রিম কোর্টে কী করেছেন, তা আইনজীবী সমাজ জানে। প্রধান বিচারপতির দরজায় একজন বিচারপতি লাথি মেরেছেন যা মিডিয়ার প্রকাশিত হয়েছে। আদালত অঙ্গনে মিছিল সমাবেশ নিয়ে যে রায় এখন আমাদের মানতে বলা হচ্ছে, একসময় সেই রায়ই আপনারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পুড়িয়েছেন। আপনারা অতীত ভুলে গেছেন। আপনারা যা করেছেন, আমরা তার থেকে বেশি করব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে। হুঁশিয়ার, বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত করতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বরা বিচারপতিদের উদ্দেশে বলেন, মুক্তমনা বিচারপতি দরকার আছে কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচারপতি দরকার নেই। তিনি বলেন, বিচারপতিরা শপথ নিয়ে আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন। কিন্তু কিছু বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করনে। সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।