টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুরপাড়া বটতলা এলাকার একটি ভবন থেকে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ৮টার দিকে হেলাল মিয়ার ছয়তলা বাসার তৃতীয় তলা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত খাদিজা কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুরের নুরুল হকের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, রাশেদুলকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন খাদিজা। তারা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন নিপা নামে খাদিজার এক বান্ধবী। তবে খাদিজার মৃত্যুর পর থেকে রাশেদুল ও নিপার কোনো খোঁজ নেই।
পাশের কক্ষের নার্গিস বেগম বলেন, নিহত খাদিজা বেগম ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম এখানে ভাড়া থাকতেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার খাদিজার সঙ্গে কথা বলে আমি গ্রামের বাড়ি চলে যাই। বাসার প্রধান ফটক খোলা থাকায় বাসার মালিক আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। পরে আমি বাসার মালিক হেলাল মিয়াকে খাদিজা ও তার স্বামী এবং খাদিজার ভাড়াটিয়া নিপার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, বাসার মালিক পরে খাদিজার কক্ষের সামনে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
খাদিজার ভাই ইমাম আলী বলেন, আমার বোনকে তার আগের স্বামীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে বিচ্ছেদ করানো হয়। সে কিছু দিন ধরে টাঙ্গাইল আদালতে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করত। কোনো ছেলের সঙ্গে বিয়ে বা সম্পর্ক হয়েছিল কিনা, সেটি আমার জানা নেই।
সদর থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর খাদিজার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পায়ের দুই রগ কাটা। এ ছাড়া তার মুখে কাপড় পেঁচানো এবং বালিশের চাপ দেওয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার পায়ের রগ কেটে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।