ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেলের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার এবং রেলের সংখ্যা ও এর বগির সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করছে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ মানববন্ধন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি সিদ্দিক, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক হিমাংসু সাহা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সংগঠক শহিদুল ইসলাম নান্নু ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।
রফিউর রাব্বি বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে আটমাস রেল চলাচল বন্ধ রেখে গতমাসে আগের রেলকে কমিউটার নাম দিয়ে চালু করে ১৫ টাকা ভাড়াকে ২০ টাকা করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দূরত্ব অনুযায়ী দেশে রেলের নির্ধারিত ভাড়া হিসাবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ভাড়া ১৫ টাকারও কম হয়, কিন্তু যেহেতু রেলের সর্বনিন্ম ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা, সেহেতু এই রুটে এতদিন ১৫ টাকা করে নেয়া হতো, যা দূরত্ব অনুযায়ী আগেই বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে আরো পাঁচ টাকা বৃদ্ধি করা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অন্যায্য।
তিনি বলেন, রেলের যাত্রী মূলত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে পাঁচ টাকা অনেক বেশি। তিনি অতিদ্রুত এই বর্ধিত-ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং রেলের সংখ্যা করোনার আগের সময়কার মতো ১৬ জোড়া করার ও রেলের বগি সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে যেখানে রেলকে আধুনিকায়ন করে যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্য্যম হিসেবে গড়ে তুলছে, সেখান আমাদের মতো জনবহুল দেশে অপার সম্ভাবনা থাকার পরেও সরকারের অসাধু ব্যক্তিবর্গ নিজেদের হীন-স্বার্থে রেলকে অকার্যকর করে তোলার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত রয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রেলের অসাধু কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জের পরিবহন-সিন্ডিকেটের সাথে আতাঁত করে রেল খাতকে জনবিমুখ করার অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা রেলের সেবার মান বৃদ্ধি করে রেলকে আধুনিকায়ন ও জনবান্ধব করার দাবি জানান