বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, সরকার যে দেউলিয়া হয়ে গেছে তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর একটি সেলফি। আওয়ামী লীগের নেতারা এটি ভাইরাল করে বুঝাতে চাচ্ছেন আমরা এখনও দেউলিয়া হইনি। আরে দেউলিয়া না হলে একটি ছবিকে কেন পুঁজি করছেন? এই সেলফি ভোট ডাকাত ও গণতন্ত্র হরণকারী সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।
সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি নয়াপল্টন কার্যালয় হতে শুরু হয়ে বিজয়নগর মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে সালাম বলেন, সরকার আবারও পাতানো নির্বাচনের ছক তৈরি করছে। এবার আর নয়-ছয় বুঝিয়ে লাভ নেই। বিএনপির একটি কর্মী বেঁচে থাকা অবস্থায় সরকারের এই নীল নকশা বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
তিনি বলেন, গোটা দেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই বন্দিশালা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে যারা রাজপথে আছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর যারা গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন তারা নতুন প্রজন্মের কাছে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তাই সাবধান, এখনো সময় আছে জনগণের পাশে দাঁড়ান।
বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল হক, শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারি, শ্যামপুর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম দিপু, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, কদমতলী থানা নেতা খোরশেদ আলম খোকন, ডেমরা থানার সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি হাজী হযরত আলী, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন সর্দার, ৫৯নং ওয়ার্ড সভাপতি খোরশেদ আলম খোকন, ৬০ নং ওয়ার্ড বিএনপির হাজী ইউসুফ আলী, ৫৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি সেলিম রাজা, ৬৫ নং ওয়ার্ড আহবায়ক আশরাফউদ্দিন খান, ৬৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল লতিফ খান মিনু, ৫০ নং ওয়ার্ড সাবেক সভাপতি জাহিদ হোসেন, ৫৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি আলমগীর খান লিপু, যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদরুল আলম শেখর, ডেমরা থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, কদমতলী থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, শ্যামপুর থানার সাবেক সভাপতি জামাল, ডেমরা থানা বিএনপি নেতা হানিফসহ শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।