বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ বাগেরহাটের দুর্র্ধর্ষ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় স্বর্ণসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন রহিম নগর সাকিনস্থ নিজ বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
রবিবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে, এম আরিফুল হক পি পি এম তার কার্যালয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সকল তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলো, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মৃত হারেজ খানের ছেলে নান্নু মিয়া (৫২) ও আব্দুল রহমানের হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মালেক হাওলাদার (৪০)।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট তারিখে বাগেরহাটের রেল রোড এলাকায় স্বর্ণের দোকান ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায় বাড়ির মালিক। পরে দোকানের মালিক প্রবীর সরকারকে বিষয়টি জানায়। সংবাদ পেয়ে প্রবীর সরকার দ্রæত দোকানে এসে দেখে দোকানের ভিতরে লোহার সিন্দুক ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দোকানে নেই কোন মালামাল নাই শূন্য অবস্থায় রয়েছে দোকান। এ ঘটনায় তার ৭০ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় দোকানের মালিক প্রবীর সরকার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয় বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে, এম আরিফুল হক বলেন, স্বর্ণের দোকান চুরির পর থেকেই পুলিশ বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ তারিখ মধ্যরাতে খুলনার রহিম নগর থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। অন্য আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাটে যুবকের রডের আঘাতে পথচারী নিহত, আহত দুই পুলিশ সদস্য
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে নেশাগ্রস্থ যুবকের লোহার রডের আঘাত ও দায়ের কোপে এক পথচারী নিহত হয়েছে। ওই যুবককে ধরতে গিয়ে চিতলমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ তরিকুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ রেজাউল ইসলাম গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চরবড়বাড়িয়া গ্রামের হাবিব ফকিরের বাড়ির সামনে রাস্তায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর এ হামলা হয়। একই স্থানে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পথচারী কৃষ্ণপদ হীরার (৫০) ওপর লোহার রড ও দা দিয়ে ওই যুবক হামলা করে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষ্ণপদ হীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারী শাহীন শেখ (২৫) কে আটক করেছে। চিতলমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ গোলাম কিবরিয়া খান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানান, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চরবড়বাড়িয়া গ্রামের রসিক লাল হীরার ছেলে কৃষ্ণপদ হীরা পার্শ্ববর্তী আত্মীয়র বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি গ্রামের হাবিব ফকিরের বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌঁছালে একই গ্রামের সুন্দর আলী শেখের ছেলে নেশাগ্রস্থ শাহীন শেখ তাকে বিনা কারণে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮ টায় কৃষ্ণপদ হীরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ হামলাকারী যুবককে আটক করতে গেলে শাহীন শেখ লোহার রড় ও দা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় হামলায় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ তরিকুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ রেজাউল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ হামলাকারী শাহিন শেখকে আটক করেছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মামুন হাসান বলেন, ‘আহত অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওসি তদন্তের মাথায় ৮ টি সেলাই লেগেছে। এসআই বাম হাতে আঘাত পেয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা গুরুত্বের সাথে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।