ক্রিকেট খেলাধুলা

বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান

বিশ্বকাপে খুব বেশি অর্জন নেই বাংলাদেশের, সমৃদ্ধ নয় ইতিহাস। প্রতিবারেই অনুপ্রেরণা কেবল বড় এক-দুই দলের বিপক্ষে চমক, এই যা! তবে এবার দৃশ্যটা বদলাতে চায় টাইগাররা, লিখতে চায় নতুন গল্প। চোখেমুখে এবার ভিন্ন কিছুর স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ পূরণে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

নতুন লক্ষ্যে, নতুন স্বপ্ন বুকে নতুন একটা বিশ্বকাপ শুরু করছে টাইগাররা। ভারত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামছে সাকিব আল হাসানের দল। অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি হিমাচল রাজ্যের নয়নাভিরাম ধর্মশালা স্টেডিয়ামে ভারতের আতিথ্য নেবে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেটে অর্জনের কমতি নেই বাংলাদেশের। অভাব শুধু একটা আন্তর্জাতিক শিরোপার। সেই শিরোপা স্বপ্ন বিশ্বকাপ দিয়ে পূরণ যদিও কঠিন, তবে সেমিফাইনালে অন্তত খেলতে চায় সাকিব আল হাসানের দল। প্রস্তুতি, পরিসংখ্যান, আবহাওয়া আর শক্তিমত্তার বিচারে এইটুকু বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেই বটে।

এবার শুরু স্বপ্নপূরণের পালা। সেই লক্ষ্যেই বেলা আড়াইটায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে বিশ্বকাপ মিশন। এই ম্যাচ দিয়েই এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে উভয় দল।

আফগানিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ। সম্প্রতি টাইগারদের বিপক্ষে তাদের সাফল্য চমকপ্রদ। মাস দুয়েক আগেই ঘরের মাঠে টাইগারদের সিরিজ হারের লজ্জা দিয়ে গেছে রশিদ খানরা। যদিও সাকিবরা এর প্রতিশোধ নেয় গতমাসে। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ৫ ওয়ানডের ৩টিতেই জিতেছে আফগানিস্তান। তবে মোট ম্যাচের পরিসংখ্যানে খানিকটা এগিয়ে টাইগাররাই। যেখানে ১৫ দেখায় ৯ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের জয় ৬ ম্যাচে। বিশ্বকাপেও দাপুটে বাংলাদেশ, এখন পর্যন্ত দুই দেখায় দু’বার হেসেছে সাকিব-মুশফিকরা।

দুই দলের দেখায় ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ বাংলাদেশের, গত এশিয়া কাপেই ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে টাইগাররা। আবার সর্বনিম্ন সংগ্রহের তিক্ত রেকর্ডটাও বাংলাদেশেরই, ১১৯ রানে অলআউট হয় ২০১৮ এশিয়া কাপে।

আর মুখোমুখি দেখায় সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের, ১৩ ইনিংসে ৪৫৮ রান করেছেন তিনি। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসান ৩৯৯ ও লিটন দাস ৩৭৮ রান নিয়ে আছেন তিনে। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪৫ হাশমতুল্লাহ শাহিদির। রহমত শাহ করেন ৩১৮ রান।

সর্বোচ্চ উইকেট সাকিব আল হাসানের, ১৩ ইনিংসে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৯ উইকেট নিয়ে যথাক্রমে দুইয়ে ও তিনে আছেন তাসকিন আহমেদ ও রশিদ খান। ১৭ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন মোহাম্মদ নাবি। ফজলে হক ফারুকী নিয়েছেন ১৪ উইকেট।

পরিসংখ্যানই বলে দেয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে বেশ দাপুটে সাকিব আল হাসান। নিশ্চয়ই সেই ধারাটা ধরে রাখতে চাইবেন আজও। ধরতে চাইবেন ২০১৯ বিশ্বকাপের ধারা। যেখানেই একাই ব্যাটে-বলে রাঙিয়ে তুলেছিলেন সেই আসর। ৬০৬ রানের সাথে নিয়েছিলেন ১১উইকেট। যা এক আসরে নেই আর কারো। এবারো কি পারবেন সাকিব?