পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান এসে পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পে। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে।
রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কান্তি কুমার মদক মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কান্তি কুমার মদক জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউরেনিয়ামের গাড়ি রূপপুর প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছায় রূপপুরের জন্য আনা ইউরেনিয়াম।
গত ২৮শে সেপ্টেম্বর বিকেলে রাশিয়া থেকে ঢাকায় আসার পরদিন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে আনা হয়েছিল। গত শুক্রবার আনা হয় ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান।
ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালানের গাড়িবহর ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড় হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকার ভেতরে পৌঁছালে আজও কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ার কর্মীরা স্বাগত জানায়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আমদানি করা পারমাণবিক জ্বালানি সড়কপথে রূপপুরে নেয়া হয়। আরও চালান দেশে আসবে।
তিনি জানান, প্রথম চালান আসার পর থেকেই রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি পারমাণবিক স্থাপনায় উন্নীত হয়েছে। ৫ই অক্টোবর রূপপুরে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পারমাণবিক জ্বালানি সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ সবক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে।