জাতীয়

‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশের সাথে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে আফরিনের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তারা দুই দেশের মধ্যে ‘শক্তিশালী বহুমুখী’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচনী জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেন।

সম্প্রতি কলম্বোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যেই তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে বলেছেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায়।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন সম্প্রতি বলেন, আফরিন আখতারের সফর মূলত রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশের নির্বাচন- দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।

মোমেন অবশ্য বলেন, সব দল আন্তরিকতা না দেখালে সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

তিনি আখতারকে আরো জানান, বাংলাদেশীরা আমেরিকানদের মতো নয় এবং বাংলাদেশের মানুষ খুব উৎসাহের নিয়ে তাদের ভোট দেয়।

মোমেন বলেন, ‘এটি এখানে একটি উৎসব। বাংলাদেশে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দৃশ্য।’

সফরকালে তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করতে পারেন।

আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।

তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।