চেন্নাইয়ের ধীর আর টার্নিং উইকেটে চার স্পিনার নিয়ে নামে আফগানিস্তান। উদ্দেশ্য- পাকিস্তানকে আড়াশ’ রানে আটকে রাখা। আফগান অধিনায়কের চাওয়া মতো পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তানের স্পিনাররা। কিন্তু স্লগে দুই পেসারের ওপর চড়াও হয়ে ঝড় ইফতিখার আহমেদ। তাকে শাদাব খান সঙ্গ দিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে দলকে ২৮২ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন।
আসরে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সোমবার টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ওপেনার ইমাম উল ও আব্দুল্লাহ শফিক ১০.১ ওভারে ৫৬ রানের ভালো শুরু দেন। ইমাম উল ফিরে যাস ১৭ রান করেন। এরপর বিশ্বকাপ অভিষেকে সেঞ্চুরি ও পরের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া আব্দুল্লাহ এই ম্যাচেও ভালো ব্যাটিং দেখান। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৫ বলে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৮ রানের ইনিংস।
প্রত্যাশা মিটিয়ে ব্যাট করতে না পারা বাবর আজম এই ম্যাচে খেলেন ৯২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। কিন্তু তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান এই ম্যাচে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ৮ রান করে ফিরে যান। সেট হয়ে আউট হওয়ার রোগে পাওয়া সৌদ শাকিল এই ম্যাচেও একই পথে হাঁটেন। তিনি ফেরেন ২৫ রান করে।
শেষে ইফতিখার আহমেদ ২৭ বলে ৪০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কা ও দুটি চারের শট মারেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এছাড়া শাদাব খান ৩৮ বলে ৪০ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। তিনি একটি করে চার ও ছক্কা মারেন। বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া আফগানিস্তানের ১৮ বছর বয়সী বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার নুর আহমেদ ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। নাভিন উল, মোহাম্মদ নবী ও আজমতউল্লাহ একটি করে উইকেট নেন।