আন্তর্জাতিক

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ : পাল্টাপাল্টি ভেটো

গাজায় ইসরাইলি অভিযান নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আনা দুটি প্রস্তাবই বাতিল হয়ে গেছে। রাশিয়ার আনা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ভেটো দিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রস্তাবে রাশিয়া ও চীন ভেটো দিয়েছে।

রাশিয়ার আনা প্রস্তাবে অবিলম্বে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল চীন, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও গ্যাবন।
আর ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
এছাড়া ভোট দানে বিরত ছিল আলবেনিয়া, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, ঘানা, জাপান, মাল্টা, মোজাম্বিক ও সুইজারল্যান্ড।

উল্লেখ্য, ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোর অধিকারী পাঁচ দেশের কেউ ভেটো দিলে ওই প্রস্তাব পাস হয় না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স হলো ভেটো প্রদানের অধিকারী দেশ।

অন্যদিকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন ‘মানবিক বিরতি’র প্রস্তাব দিয়ে আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে আলজেনিয়া, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, গ্যাবন, ঘানা, জাপান, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ভোটদানে বিরত ছিল ব্রাজিল ও মোজাম্বিক।

মার্কিন প্রস্তাবে হামাসের নিন্দা করা বলা হয়েছিল যে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এতে অবিলম্বে সকল পণবন্দীর মুক্তির দাবি করা হয়েছিল।
চীনের প্রতিনিধি এই প্রস্তাবের ব্যাপারে বলেন, এই প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির কথা বলা না হওয়ায় তারা ভেটো দিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রস্তাবটি ইসরাইলের পক্ষে গেলেও তাদের অবস্থানে অতি সামান্য হলেও পরিবর্তন দেখা গেছে। সাধারণত, জাতিসঙ্ঘে তারা ইসরাইলের পক্ষে ঢাল হিসেবে দাঁড়ায়, তাদের সব পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দেয়। এবার তাদের হামলা সাময়িকভাবে বিরতির আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র। এটি তাদের অবস্থানের একটু হলেও পরিবর্তন।

উভয় প্রস্তাবেই ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। এছাড়া গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়।

দুই প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য আছে। মার্কিন প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রগুলোর আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার আছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রস্তাবে গাজা সিটি থেকে বেসামরিক নাগরিকদের অবিলম্বে সরে যাওয়ার ইসরাইলি বাহিনীর নির্দেশ বাতিলের কথা বলা হয়।

সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স এবং অন্যান্য