দেশবার্তা

আড়াইহাজারে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

ঢাকা সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনার সময় আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত ) হুমায়ুন কবির মোল্লা, এ এস আই আঃ মতিন ও কনস্টেবল নজরুলসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে পুলিশ সদস্য নজরুলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় মহাসড়কে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি পৌঁছে সোয়া ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮ টায় অবরোধের সমর্থনে পাঁচরুখী এলাকায় মহাসড়কে মিছিল বের করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। মিছিলে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেয়। মিছিল থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধ সফল করার স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলটি মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপর পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী ও ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।

সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাস ভাংচুর, মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা সহ আসলে তাদেরকেও ধাওয়া দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকজন আওয়ামীলীগ কর্মীও গুরুতর আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী পুলিশ ও আওয়ামীলীগের হামলায় আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমাদের উপর নির্বিচারে গুলি করেছে। তবুও আমরা ৭২ ঘন্টা রাজপথে থেকে অবরোধ সফল করবো।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে নৈরাজ্য করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।