একতরফা তফশিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল শুরু করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কিন্তু রাজধানীর শন্তিনগরে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। পরে সেখানেই কর্মসূচি বন্ধ করে দেন তারা।
বুধবার বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে এই গণমিছিল শুরু হয়। এর আগে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত হন দলটির নেতাকর্মীরা। এরপর সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করেন তারা।
তবে রাজধানীর মালিবাগ শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ প্রস্তুত ছিল আগে থেকেই। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় গণমিছিল।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে সিনিয়র নেতারা পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন। অবশেষে সেখানে পথসভা করে দলটি।
সেখানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ ভাইদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিবাদ নেই। আমরা চাইলেই এই ব্যারিকেড ভাঙতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।
এর আগে গত রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ নোয়াখালী টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
ওইদিন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা তফশিল ঘোষণা করতে চাইলে তফশিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে, তফশিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল, আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন, জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।