খেলাধুলা

বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ করল ২৯১ রান। তাতে সৌম্য সরকারের একারই ছিল ১৬৯ রান! তবে ভালো সংগ্রহ গড়েও বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হয়নি টাইগারদের। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচ বাকি থাকতে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারল।

আজ নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে মুখোমুখি হয় দুদল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে অফ ফর্মের কারণে সমালোচনায় থাকা সৌম্য সরকার এই ম্যাচে যেন সবকিছুর জবাব দিলেন। এই ব্যাটারের দানবীয় ইনিংসে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ২২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।

২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করা নিউজিল্যান্ড। অবশেষে জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ১১তম ওভারের শেষ বলে রিশাদ হোসেনের দারুণ ক্যাচে আউট হয়েছেন রাচীন রবীন্দ্র। এই ব্যাটার ৩৩ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন। উদ্বোধনীতে উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে তিনি ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ং ও হেনরি নিকোলস ১৩১ বলে ১২৮ রান তোলেন। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ৯৪ বলে ৮৯ রান করা এই ব্যাটারকে হাসান নিজের ক্যাচেই ফেরান। ইয়ং ৮টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান।

কিউইদের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ৯৯ বলে ৯৫ রান করা হেনরি নিকোলসকে সেঞ্চুরি করতে দেননি এই বাঁহাতি। নিকোলস ৮টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। টম ল্যাথাম ৩৪ ও টম ব্লান্ডেল ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট পান হাসান মাহমুদ। একটি উইকেট পান শরিফুল।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে ব্যক্তিগত ২ রানে আউট হন এনামুল হক। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস ৬ রানকরে দ্রুতই ফিরে যান। এ দুজনকেই পর পর দুই ওভারে তুলে নেন জ্যাকব ডাফি। আর দলীয় ৮০ রানে তাওহীদ হৃদয় ১২ রান করে রান আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার। এই বাঁহাতি ৫৮ বলে ফিফটি ও ১১৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তিনি মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১০৮ বলে ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকেও উদ্ধার করেন। ডাফির তৃতীয় শিকার হওয়া মুশফিক ৫৭ বলে ৫টি চারে ৪৫ রানে মাঠ ছাড়েন।

এরপর অন্য ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও সৌম্য টাইগারদের একাই পথ দেখান। সেঞ্চুরির পরই মূলত ব্যাটে ঝড় তোলেন। ইনিংসের শেষ ওভারে উইলিয়াম ও’রোরকের প্রথম বলে সৌম্য আউট হন। ১৫১ বলে ২২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

কিউই বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট পান ডাফি ও রোরকে।