রাজনীতি

আ’লীগ জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি : ১২ দলীয় জোট

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেছে, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি পাতানো-সাজানো নির্বাচন করতে দেয়া হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় রাজনীতির জন্য মহাবিপদ হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরের শাসনামলে অগণিত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক, আলেম ওলামা ও অসংখ্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে। দর্জি কর্মচারী বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কুপিয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং এই সরকারের অধীনে দেশ-জাতি নিরাপদ নয়। তাই সময় সমাগত, এই সরকারকে চূড়ান্ত বিদায় করতে সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

রোববার দুপুরে অবরোধ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড় এসে শেষ করে। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছে।

নেতৃবৃন্দ জানায়, এই সরকারের সময় একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকার আর সুযোগ নাই।

জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, আওয়ামী লীগের পাতানো ডামি নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি হতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নির্বাচন বর্জন করুন। ইনশা আল্লাহ এবার জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী ক্ষমতার জন্য ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের নাশকতাকারী এবং দাঁড়ি-টুপি ওয়ালাদের জঙ্গি বানিয়ে বিশ্বের কাছে ‘মিথ্যা বুলি’ বিক্রি করেছে।

তিনি দাবি করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে বাংলাদেশ ইজারা দিয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর সরকার দেশ বিক্রির গোপন চুক্তি চূড়ান্ত করবে। দেশবাসী সাবধান থাকবেন। আপনার ভোট বর্জন করবেন।

এ সময় ১২ দলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে সর্বাত্মক গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট।