দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সরকারের সাজানো, একতরফা এবং জোরজবরদস্তির নির্বাচন বলে মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জবরদস্তি ও তামাশার এ নির্বাচন দেশকে আরও ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার সকালে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এ আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগের আগে পথ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।
নেতারা বলেন, সরকার এমন একটি জোরজবরদস্তির ও তামাশার নির্বাচন করছে যে, নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু সরকার কে হবে কেউ জিজ্ঞাসা করে না। সব দিক থেকে প্রশ্ন উঠেছে- জিজ্ঞাসা উঠেছে, বিরোধী দল কে হবে? এ তামাশায় আসলে মানুষ অংশ নেবে না।
জনগণের উদ্দেশে নেতারা বলেন, যারা তথাকথিত নির্বাচনের নামে আমাদের ভোট কেড়ে নিচ্ছে তাদের অসহযোগিতা করুন। যে সরকার ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই তাদের সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। ৭ তারিখ তামাশার ভোট বর্জন করে মানুষ তাদের সমুচিত জবাব দেবে। নেতারা বলেন, সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ অসহযোগিতার মধ্য দিয়ে অহিংস আন্দোলন করছে।
তারা আরও বলেন, সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি জনগণের অংশগ্রহণ না থাকে, প্রতিনিধিত্ব না থাকে, তাহলে সেই সরকারকে সহযোগিতা করার নৈতিক কারণ জনগণের নাই। সরকার তাদের নির্বাচন নামক খেলাতে অংশ নিতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা কার্ড জমা নিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ ইতোমধ্যেই এ তামাশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।