জামালপুর-৫ সদর আসনের রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালীবাড়ীতে নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রের সামনে নৌকা প্রতীকের তিন কর্মীর তিনটি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের চারজন কর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় , জামালপুর-৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী মোটরসাইলে রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালিবাড়ীতে নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে যান। সেখানে তারা নৌকার শ্লোগান দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছিলেন।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রেজনুর (ঈগল) প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় নৌকা প্রতীকের চারজন সমর্থক গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের কর্মী নান্দিনা সাংগঠনিক থানা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা শ্যামল, নজরুল ও সিফাতের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এর জের ধরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ঈগল প্রতীকের স্থানীয় একটি প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
খবর পেয়ে জামালপুর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জামালপুর সদর থানার ওসি ও বিজিবির একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক লুৎফুল কবীর বাবুর নেতৃত্বে আমাদের নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হামলায় আমাদের পাঁচজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, মহেশপুর কালিবাড়ীতে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেল তিনটি মালিক কারা সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।